নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার::
উখিয়ার জালিয়াপালং-এর ২ শীর্ষ মানবপাচারকারী, চিহ্নিত অপরাধী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী, একাধিক মানবপাচার মামলার ওয়ারেন্ট আসামী জাহিদুল আলম ও ছৈয়দ আলম প্রকাশ্যে ঘুরছে। এই ২ মানবপাচারকারী একাধিক আলোচিত মানবপাচার মামলার ওয়ারেন্ট আসামী হলেও প্রকাশ্যে ঘুরছে ও ইয়াবা ব্যবসা সহ এলাকায় নানা অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। অথচ রহস্য জনক কারণে থানা পুলিশ তাদের দেখেও না দেখার ভান করছে।
আলোচিত ২ মানবপাচারকারীর একজন জাহিদুল আলম জাহেদ (৩২) উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাইছড়ি গ্রামের ইসহাক আহমদের পূত্র। সে মানবপাচার আইনের উখিয়া থানার মামলা নং-৫৪, তাং-৩০/০৯/২০১৪ইং জিআর-২৮২/২০১৪ নং মামলার এজাহার নামীয় ২নং ক্রমিকের ওয়ারেন্ট আসামী। উক্ত মামলায় ৫ জন মালয়েশিয়াযাত্রী ভিকটিমের ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে এই জাহেদের নাম বলেছে। এছাড়া উক্ত জাহেদ আলম মানবপাচারকালে গত বছরের ১৩ জানুয়ারী কক্সবাজার ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার মামলা নং-৪১, তাং-১৩/০১/২০১৫ইং জিআর-৪১/২০১৫ নং মামলায় দীর্ঘদিন জেল হাজতেও ছিল। এই শীর্ষ মানবপাচারকারী জাহেদ জালিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাইছড়ি দুবাই কাসেম মার্কেট নামক স্থানে এলাকার চিহ্নিত অপরাধীদের নিয়ে সিন্ডিকেট করে ইতিপূর্বে বেপরোয়া মানবপাচার এবং বর্তমানে ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যবসা সহ চুরি-ডাকাতির মত বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। অপর মানবপাচারকারী ছৈয়দ আলম (৩৫) একই ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাইছড়ি (কালারপাড়া) গ্রামের মৃত আমির হামজার পূত্র। সে মানবপাচার আইনের উখিয়া থানার মামলা নং-১৩, তাং-১৩/০১/২০১৫ইং জিআর-১৩/২০১৫ মানবপাচার-৫৭/২০১৬ নং মামলার এজাহার নামীয় ২নং ক্রমিকের এবং উখিয়া থানার মামলা নং-৫৫, তাং-৩০/০৯/২০১৪ইং জিআর-২৮৩/২০১৪ নং মামলার এজাহার নামীয় ৪নং ক্রমিকের ওয়ারেন্ট আসামী। এছাড়া উক্ত মানবপাচারকারী ছৈয়দ আলম রামু থানার মামলা নং-২১, তাং-১১/০৬/২০১৪ইং জিআর-১৮১/২০১৪ মানবপাচার-৩২/২০১৫ নং মামলায় গত ২৭/১০/২০১৫ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। এই শীর্ষ মানবপাচারকারী ছৈয়দ আলমও জালিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাইছড়ি বাদামতলী নামক স্থানে এলাকার চিহ্নিত অপরাধীদের নিয়ে সিন্ডিকেট করে ইতিপূর্বে বেপরোয়া মানবপাচার এবং বর্তমানে ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যবসা সহ চুরি-ডাকাতির মত বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। শীর্ষ ২ মানবপাচারকারী জাহেদুল আলম ও ছৈয়দ আলম মানবপাচার মামলার ওয়ারেন্ট আসামী হলেও কেন তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না জানতে চাইলে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এ.এস.আই (নিঃ) মোঃ আরিফুর রহমান জানান, তিনি ফাঁড়িতে নতূন দায়িত্বে আসায়, তাদের মানবপাচার মামলায় ওয়ারেন্ট থাকার বিষয়ে অবগত ছিলেন না, যাচাই করে তাদের গ্রেফতারে অচিরেই অভিযান পরিচালনা করা হবে। এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এদিকে এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক সাধারণ মানুষ ও জনপ্রতিনিধি আলোচিত এই ২ মানবপাচারকারীকে গ্রেফতারের দাবী জানান।
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় দুই রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে এ ...
পাঠকের মতামত